পিরোজপুর প্রতিনিধি: পিরোজপুরের নেছারাবাদ মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার সারেংকাঠি ইউনিয়নে পঞ্চগ্রাম সম্মিলনি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ পরীক্ষায় মেধাবীদের পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ণ না করে অর্থের বিনিময়ে কাওসার আকন নামে এক আওয়ামীলীগ নেতার ছেলেকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। গুঞ্জন রয়েছে নিয়োগ পরীক্ষায় ওই পদ ছাড়াও অন্যান্য পদে বিদ্যালয়ে ডোনেশন নামে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে পছন্দের প্রার্থীদের চাকরি দিয়েছে বিদ্যালয়ের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মো: নজরুল ইসলাম। ভাল পরীক্ষা দিয়েও সভাপতিকে ঘুষ দিতে না পারায় চাকরি পায়নি এইচএসসি পাশ মোস্তফা শেখ।
সারেংকাঠী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মৃত আফসার আলী শেখের ছেলে মোস্তফা শেখ এইচএসসি পাশ করে সংসারের অভাব অনটনে বর্তমানে চায়ের দোকানে ব্যবসা করছেন। নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ পরীক্ষায় ভাল লিখেও চাকরি না পাওয়ায় নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি। মোস্তফার অভিযোগ, পরীক্ষা খাতায় ভাল লিখেও সভাপতিকে মোটা টাকার ঘুষ দিতে না পারায় তার চাকরি হয়নি। তার দাবী যথাযথভাবে পরীক্ষার খাতা পুন:নিরিক্ষন করলে তিনি ওই পদে প্রথম হবেন।
অভিযোগে জানাগেছে, গত ২৯ নভেম্বর ওই বিদ্যালয়ে, নিরাপত্তাকর্মী, অফিস সহায়ক, আয়া, পরিচ্ছন্নতাকর্মী এবং সহকারি প্রধান শিক্ষক পদের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে বসে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রত্যেক পদের জন্য ৮ থেকে ১০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। পরীক্ষায় নিরাপত্তাকর্মী পদে কাওসার আকন নামে এক প্রার্থী নাম মাত্র পরীক্ষা দিয়ে বের হয়ে যায়। এমনকি সে পরীক্ষার ভাইবা বোর্ডে বসা সম্মানিত লোকদের সাথে অসধআচারন করায় অপমানিত হয়েছে। কাওসার আকন এসব কর্মকান্ড করার পরেও তিনি নিরাপত্তাকর্মীপদে চাকরি পেয়েছেন।
মোস্তফা শেখের অভিযোগ বিদ্যালয়ের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মো: নজরুল ইসলাম কাওসার আকনের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে তাকে চাকরি দেয়া হয়েছে।
বিদ্যালয়ের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নিয়োগে কোন দুর্নীতি হয়নি। যারা চাকরি পাইনি; তারা এ মিথ্যা অভিযোগ ছড়াচ্ছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: সাইদুর রহমান বলেন, ভাই, দলীয় চাপ থাকায় এলাকার আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতা মো: সালাম আকনের ছেলে কাওসার আকনকে চাকরি দেয়া হয়েছে। তবে নিয়োগে কোন টাকা পয়সার লেনদেন হয়নি।
মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: জাহাঙ্গির আলম বলেন আমি কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করা হবে। তাছাড়া এখানে কোন দুর্নীতি হইনি।
নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মাহাবুব উল্লাহ মজুমদার জানান, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্তর জন্য একজন কর্মকর্তাকে দেয়া হয়েছে।